বর্তমানে প্রেম, বিয়ে, ও পারিবারিক সম্পর্কে ভাঙনের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। কিন্তু এর প্রধান কারণ ?

বর্তমানে প্রেম, বিয়ে, ও পারিবারিক সম্পর্কে ভাঙনের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। কিন্তু এর প্রধান কারণ ?

Published on 04 March, 2025 by Benglish Post

বর্তমানে প্রেম, বিয়ে, ও পারিবারিক সম্পর্কে ভাঙনের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। কিন্তু এর প্রধান কারণ ?


কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ধ্বংস করছে সম্পর্ক?


অতিরিক্ত সময় ব্যয় ও সংযোগহীনতা

যখন প্রেমিক/প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থেকেও মোবাইলের স্ক্রিনে ব্যস্ত থাকে, তখন সম্পর্কের গভীরতা কমতে বাধ্য। ডিজিটাল কানেকশন যত বাড়ছে, বাস্তব সংযোগ তত কমছে।

আগে সময় না কাটলে একে অপরের সাথে গল্প করতাম তার বদলে এখন দুজনে দুটো মোবাইলে আলাদা আলাদা reels চালিয়ে সময় নষ্ট করছি।


অপ্রয়োজনীয় সন্দেহ ও অবিশ্বাস

প্রিয়জনের অনলাইনে স্ট্যাটাস, কমেন্ট, বা রিঅ্যাকশন দেখে অনেকেই অহেতুক সন্দেহ করতে শুরু করে। এতে সম্পর্কের ভিত দুর্বল হয়ে যায়।

আপনার প্রিয়জনের পোস্টে কেউ ❤️ লাভ রিয়েক্ট দিল মানে সে তাকে ভালোবাসে তার সাথে সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েছে এমন কিছু নয়


3️⃣ অন্যদের সাজানো জীবন দেখে নিজের জীবনকে ব্যর্থ মনে করা

সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই শুধু সুখী দিকটাই দেখায়। অন্যদের সম্পর্ক দেখে অনেকেই নিজের সঙ্গীর সঙ্গে তুলনা শুরু করে, যা একসময় অতৃপ্তি ও ঝগড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আজকাল ভিউ পাওয়ার চক্করে এবং পয়সা কামানোর আশায় সোশ্যাল মিডিয়াতে রোজই ঘুরতে যাওয়ার এবং ভালো ভালো রেস্টুরেন্ট খাওয়া দাওয়া এবং বিভিন্ন সুখী জীবন দেখানোর চেষ্টা করছে সেগুলো দেখে নিজেরা অহেতুক খরচা করার বায়না করলে অন্যের দেখে নিজেদের সাধ্যের বাইরে খরচা করতে চাইলে বা বাধ্য করলে নিজেদের সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরতে পারে l নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খরচা করুন অন্যের দেখে নয়


4️⃣ পুরনো সম্পর্কের ফিরে আসা

ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে পুরনো প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে সংযোগ হওয়া খুব সাধারণ বিষয়। অনেক সময় এই ‘পুরনো অনুভূতি’ বর্তমান সম্পর্কে ফাটল ধরায়।

এটা খুব একটা সাধারণ ব্যাপার। তাই এই ব্যাপারটা থেকে দূরে থাকুন অতীত অতীতই হয় , সেটাকে ফিরে পেতে গিয়ে বর্তমানটাকে নষ্ট করবেন না ।


5️⃣ নেগেটিভ পরামর্শ ও ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করা

অনেকেই নিজের সম্পর্কের সমস্যা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বা বন্ধুদের ইনবক্সে জানিয়ে ফেলে। এতে ভুল পরামর্শ পেয়ে সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে যায়।


কারণ আজকালকার দিনে আপনার সুখে থাকাটা খুব কম লোকেই সহ্য করতে পারে। তাই পরামর্শ নিলে খুব বুঝে সুজে ভালো ব্যক্তির থেকেই নেবেন। নিজের মনের কথা সকলের সাথে শেয়ার করবেন না


6️⃣ সতীর্থতা থেকে প্রতারণার পথে যাত্রা

বন্ধুত্বের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়, যেখান থেকে অনেক সময় আবেগের দুর্বল মুহূর্ত তৈরি হয়। যা একসময় প্রতারণা বা ধোঁকা দেওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সোশ্যাল মিডিয়া নতুন নতুন বন্ধু আপনাকে নতুনভাবে জীবন দেখাবে এবং নতুন ভাবে প্রেমে পড়তেও উদ্বুদ্ধ করতে পারে। প্রথম প্রথম এগুলো রঙিন লাগতে পারে আপনার বোরিং জীবনে আসার আলো দেখাতে পারে তবে এ আলো ক্ষণস্থায়ী। তাই এগুলো থেকে সাবধান


7️⃣ ভুয়া আকর্ষণ ও তুলনা করা

সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিল্টার করা ছবি ও সাজানো পোস্ট দেখে অনেকেই নিজের সঙ্গীর তুলনায় অন্যকে বেশি আকর্ষণীয় মনে করতে শুরু করে। এটি একসময় সম্পর্কের প্রতি অস্বস্তি তৈরি করে।


8️⃣ গোপনীয়তার অভাব ও অতিরিক্ত প্রদর্শন

অনেকেই নিজের সম্পর্কের প্রতিটি মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে, যা একসময় ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা নষ্ট করে দেয়।


9️⃣ মনের প্রশান্তির অভাব

সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারে মস্তিষ্কের ডোপামিন লেভেল ওঠানামা করে, যা মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে। এতে সম্পর্কের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।


10️⃣ প্রায়োরিটি বদলে যাওয়া

অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক, কমেন্ট, ফলোয়ার বাড়ানোকে বেশি গুরুত্ব দেয়, কিন্তু নিজের বাস্তব জীবনের সম্পর্কের যত্ন নেয় না। এটি একসময় মানসিক দূরত্ব তৈরি করে।


তাহলে সমাধান কী?


একসঙ্গে থাকাকালীন মোবাইল দূরে রাখুন।

অযথা সন্দেহ ও তুলনা করবেন না।

সম্পর্কের সমস্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় না এনে সরাসরি কথা বলুন।

প্রিয়জনকে যথাযথ সময় দিন ও বাস্তব জীবনের সংযোগ বাড়ান।


সোশ্যাল মিডিয়া যদি ঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে এটি সম্পর্কের শত্রু নয়, বরং ভালোবাসার মাধ্যম হতে পারে। তাই ভার্চুয়াল ভালোবাসায় নয়, বাস্তব ভালোবাসায় বিনিয়োগ করুন! নিজের প্রিয়জনকে ভালোবাসা বাস্তব জীবনে জানান সোশ্যাল মিডিয়ার ফটো আপলোড করলেই হয় না বাস্তব জীবনে জড়িয়ে থাকুন একে অপরের কাছে ।।🥀


জীবন সুন্দর যদি মানুষ টা সঠিক হয়।